টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি নাসিরুদ্দিন নুরু ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ জানান, ফারুক হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে মাসুদ ও নাসির উদ্দিন নুরু অন্যতম। সকালে তারা দুইজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এর আগে গত রোববার মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর-১ কারাগারে রয়েছেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর নিহত ফারুর আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ৩ ফেব্রুয়ারি ফারুক আহম্মদ হত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও পরিবহন ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৪ জন আগেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকায়, ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
Discussion about this post