ফেনী প্রতিনিধি: ফেনী সদর উপজেলার রামপুর এলাকার একটি বাসায় ৪ তরুণীকে ছয় মাস আটকে রেখে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি কাশেম বিন কাওসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ফেনীর রামপুরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বুধবার অভিযান চালিয়ে রামপুর এলাকা থেকে মো. ওমায়ের (১৯) ও আরিফুল ইসলাম প্রকাশ আরমান (৩৩) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফেনী আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, কাওসারকে শনিবার বিকালে ফেনী সদর আদালতের বিচারক ও জ্যেষ্ঠ বিচার বিভাগীয় হাকিম মো. জাকির হোসেনের আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। তার জন্য ৫ রিমান্ড চাওয়া হয়। কিন্তু আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রিমান্ড শুনানি হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী শহরপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. শাহজাহান বলেন, মামলাটির প্রধান আসামি কাশেম বিন কাওসারকে আদালতে নেয়া হয়েছে। বিচারক তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজ রবিবার একই আদালতে তার রিমান্ড শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার রামপুরের একটি বাসায় ছয়মাস ধরে চার তরুণীকে আটকে রেখে জোরপূর্বক করে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগে জানা যায়, যৌন কাজে অসম্মতি জানালে ওই তরুণীদেরকে সিগারেটের ছ্যাঁকা, বৈদ্যুতিক শর্ট ও মারধরসহ বিভিন্নভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হত। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে।
গত সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ওই বাসার ভেতরে তরুণীদের কান্না ও চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার মালিকসহ নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়।
তরুণীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বিয়ের প্রলোভন ও প্রেমের অভিনয় করে মামলার প্রধান আসামি কাওসার বিন কাসেমসহ তার সহযোগীরা তাদেরকে বাসায় নিয়ে আসে। পরে তাদের আটকে রেখে মাদক সেবন করিয়ে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ উঠে।
Discussion about this post