ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীতে ছয় বছরের এক শিশুর ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঝলসানো ক্ষত নিয়ে বর্তমানে ওই শিশুটি ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী শাহানা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, জোহরা বেগম নামে প্রতিবেশী এক নারী মঙ্গলবার বিকেলে প্রিয়াংকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ মধ্যরাতে কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে গৃহকর্ত্রী শাহানা আক্তারকে আটক করেন।
জানা গেছে, ভিকটিম শিশুটির নাম প্রিয়াংকা আক্তার। তার বাবা-মা নেই। গৃহকর্ত্রী শাহানা আক্তার শিশুটিকে পালক আনেন। তবে পালক মেয়ে হলেও কারণে-অকারণে শিশুটির ওপর নির্যাতন চালাতেন তিনি।
প্রতিবেশী জোহরা বেগম জানান, শাহানা আক্তার বাংলা সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন। ঢাকায় বসবাস করলেও গ্রামের বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত আছে। ‘কয়েক দিন আগে শাহানা ফেনীর বাড়িতে আসেন, প্রিয়াংকাও তার সঙ্গে আসে। সোমবার রাতে কোনো একসময় শিশুটির ওপর শাহানা নির্যাতন চালান।’ তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে শাহানার বাড়ি থেকে কান্নার শব্দ আসতে থাকায় স্বামীকে নিয়ে তিনি ওই বাসায় যান। সেখান থেকে প্রিয়াংকাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
প্রিয়াংকার বরাত দিয়ে জোহরা আরও বলেন, সোমবার রাতে লাঠি দিয়ে পেটানোর পর একপর্যায়ে শাহানা শিশুটির শরীরে গরম পানি বা তেলজাতীয় কিছু ঢেলে ঝলসে দেন। পরে তাকে ঘরে আটকে রেখে বেরিয়ে যান।
ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফৌজুল কবীর বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে যাওয়ায় ওর কিডনি ঝুঁকিতে রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া দরকার। কিন্তু অভিভাবক না থাকায় আপাতত এখানেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post