সুখের সময়। ভন এবং উডস।
বদলালেন না প্রেমিক উডস!
প্রচণ্ড ব্যস্ততা। এক অপরকে সময় দিতে পারছেন না। তাই সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে হচ্ছে। টাইগার উডসের সঙ্গে তাঁর তিন বছরের সম্পর্ক হঠাৎ ভেঙে যাওয়ার এটাই কারণ। সপ্তাহ দেড়েক আগেই ফেসবুকে জানিয়েছিলেন লিন্ডসে ভন। কিন্তু সেটা নাকি স্রেফ আসল ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা ছিল অলিম্পিকে সোনা জয়ী স্কিয়ারের। আসল কারণটা প্রাক্তন বিশ্বসেরা গল্ফার ফের ‘যৌন খেলা’য় মত্ত হয়ে ওঠা। অভিযোগ, ফের পুরনো নেশা চাগাড় দিয়ে ওঠার জন্যই শেষ পর্যন্ত সম্পর্কে চিড় ধরল সম্পর্কে। অন্তত ব্রিটিশ মিডিয়ার এমনটাই দাবি।
ঘটনাটা কী?
সেলিব্রিটি জুটির এক বন্ধু জানিয়েছেন, ‘ফের অন্য এক মহিলার সঙ্গে টাইগারের যৌন সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিল লিন্ডসে। যেমনটা টাইগারের প্রাক্তন স্ত্রী এলিন জানতে পেরেছিলেন ঠিক সে রকমই।’
গত ফেব্রুয়ারিতে সান দিয়েগোর ফার্মার্স ইনসিউরেন্স ক্লাসিক টুর্নামেন্ট থেকে টাইগার দ্রুত ছিটকে যাওয়ার পরই ব্যাপারটা ধরা পড়ে। হতাশা কাটাতে টাইগার নাকি তাঁর পুরনো ‘মৃগয়াক্ষেত্র’ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় যৌন খেলায় মজে যান। সেই বন্ধু বলেছেন, ‘ব্যাপারটা বুঝতে হবে। কাজটা ঠিক নয়, ভুলও নয়। টাইগার কিন্তু বিবাহিত নয় এখন। ও মদ খায় না, অন্য কোনও নেশাভাঙও নেই। তা হলে এ রকম একটা হারের হতাশা কাটাতে কী করতে পারে? রাতের জন্য কোনও মহিলাকে খুঁজে নেয় তাই। এ ভাবেই হতাশাটা কাটাতে চায় ও।’
লিন্ডসে যদিও এই ঘটনার কথা স্বীকার করেননি। এই নিয়ে একটা শব্দও কোথাও বলেননি। তবে সোমবার ডিজনিল্যান্ডে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেটা কি বিশ্বাসভঙ্গের দুঃখ ভুলতেই? প্রশ্ন উঠছে এখন। সেই বন্ধুর আরও দাবি, ‘বেশির ভাগ পুরুষই দুঃখ ভুলতে মদ খায়। টাইগার যৌনতায় মেতে ওঠে। সাধারনত সেটা স্থানীয় যৌন কর্মীদের সঙ্গেই। তাঁর জন্য অর্থ ছড়াতেও পিছপা হয় না। একটাই শর্ত থাকে, এ ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করা যাবে না।’
কিন্তু তাতেও ঘটনাটা চাপা দেওয়া গেল না। টাইগারের সঙ্গে সেই মহিলার ছবি ফাঁস হয়ে যায়। ছ’বছর আগে প্রাক্তন স্ত্রী এলিনের কাছেও ফাঁস হয়ে গিয়েছিল টাইগারের একই রকম ‘কীর্তি’। তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল বিশ্বে। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছিল প্রায় ১২০ জনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল টাইগারের। শেষ পর্যন্ত এক বছরের মধ্যে টাইগার-এলিনের বিবাহ বিচ্ছেদও হয়েছিল। সে বার প্রথমে টাইগার এলিনের কাছে কিন্তু সব স্বীকার করেননি। তবে এ বার টাইগার কিন্তু অন্য ‘স্ট্র্যাটেজি’ নিয়েছিলেন। সেই বন্ধুর দাবি, ‘ব্যাপারটা ধরা পড়ার পরই খোলাখুলি টাইগার সব স্বীকার করে নেয় লিন্ডসের কাছে। আর এটা টাইগার বিশ্বাসভঙ্গ হিসেবেও দেখতে চায়নি। কেন না ওই মহিলার সঙ্গে মানসিক কোনও সম্পর্ক ছিল না ওর। লিন্ডসে ব্যাপারটা মানতে পারেনি। এলিনের মতো ও মানসিক ভাবে খুব শক্তপোক্ত। সম্মানটাই ওর কাছে বড় ব্যাপার।’
সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা
Discussion about this post