হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার কার্গোর এক নম্বর গেটের বাইরে থেকে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে আবারও ১০ লাখ টাকার লেডিস ফুটওয়্যারের চালান আটক করা হয়েছে। এতে সরকারের অতিরিক্ত এক লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মঈনুল খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, চীন থেকে আসা লেডিস ফুটওয়্যারের চালানটিতে উন্নতমানের ও ব্র্যান্ডের জুতা আমদানি করা হলেও, এটি কম ট্যারিফ মূল্যের নন-ব্র্যান্ড জুতা হিসেবে কর দিয়ে খালাস করে নেওয়া হবে। এই সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা দল মঙ্গলবার এয়ার কার্গো ইউনিটের এক নম্বর গেটের বাইরে অবস্থান নেয়। আনুমানিক বেলা ১২ টায় পণ্য চালানটি খালাসকালে গেটের বাইরে থেকে তা আটক করা হয়।
তিনি জানান, এই পণ্যের মাস্টার এয়ারওয়ে বিল নম্বর ৬৯৯-০০৫৭৪১১৪। চালানটির আমদানিকারক হচ্ছে ঢাকার রিফাত এন্টারপ্রাইজ এবং সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট হচ্ছে শিল্পী ট্রেডার্স লিমিটেড। চালানটিতে মোট ৮৮টি কার্টন ছিল।পরবর্তীতে চালানটি পুনঃপরীক্ষা করে দেখা যায়, ফুটওয়্যারগুলোতে ব্র্যান্ড হিসেবে ‘RED’ উল্লেখ আছে,যা জোড়াপ্রতি তিন মার্কিন ডলার মূল্যে শুল্ক প্রদানের কথা। কিন্তু এগুলো প্রতিজোড়া ১ দশমিক ৭৩ ডলার মূল্যে শুল্ক দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দা কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯, ধারা ১৬৮ এর ক্ষমতা বলে আটক করা হয় এবং এক লাখ টাকা অতিরিক্ত শুল্ক আদায় করেন গোয়েন্দারা। আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পণ্যের মূল্য ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮০ টাকা। এর বিপরীতে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ ৮ হাজার ৮৯৯ টাকা শুল্ক পরিশোধ করা হয়েছিল। উন্নত ব্র্যান্ডের জুতা আমদানি করায় বিদ্যমান ট্যারিফ মূল্য অনুযায়ী চালানটিতে প্রায় এক লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল।
অতিরিক্ত শুল্ক আদায়ের পাশাপাশি এয়ার কার্গো কমপ্লেক্সে এই পণ্য খালাসে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছেন শুল্ক গোয়েন্দারা ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩১ মে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ১১ লাখ টাকা মূল্যের লেডিস ফুটওয়্যার আটক করে অতিরিক্ত প্রায় চার লাখ টাকা শুল্ক আদায় করেছিল।
Discussion about this post