কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বহুল আলোচিত ফেলানী হত্যার ছয় বছর পূর্ণ হলেও ন্যায় বিচার বঞ্চিত থেকে গেছে পরিবার।
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে মামলার আইনজীবী ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, দীর্ঘদিন পর ভারতের সুপ্রিম কোটের প্রধান বিচারপতি রিটটি গ্রহণ করায় ফেলানীর পরিবার ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
শনিবার (০৭ জানুয়ারি) ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে ৯৪৭ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের তিন নম্বর সাব পিলারের পাশে ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা।
বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য ওইদিন বাবা নূর ইসলামের সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এরপর মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে ৮ জানুয়ারি বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার কলোনীটারী গ্রামে দাফন করা হয়।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার এখন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোটের ওপর। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনও আশা করি ভারতের উচ্চ আদালতে আমার কন্যা হত্যার ন্যায় বিচার পাবো।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার না পেয়ে ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের (মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ) সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন। সুপ্রিম কোটের প্রধান বিচারপতি রিটটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য সম্মত হন।
তিনি আরও জানান, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রিটটি গ্রহণ করায় এবার ন্যায় বিচারের আশা রয়েছে। মামলাটি ভিন্ন রাষ্ট্রের হওয়ায় এ মামলার আপিলের সুযোগ আমাদের নেই।
সুত্রঃ বাংলানিউজক
Discussion about this post