বিডি ল নিউজঃ নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশিরভাগ টিনএজাররা সোশাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দেয়। এর গোপনীয়তা বা নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের মধ্যে সাবধানতা অবলম্বন করতে দেখা যায় না। পেনসিলভেনিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাজানান, নিজের একান্ত গোপন কোনো তথ্য বা ছবি সোশাল মিডিয়ায় তোলার সময় বড়দের মতো চিন্তা করে না টিনএজাররা। তারা কিছু না ভেবেই এসব তুলে দেয় এবং তারপর এ নিয়ে চিন্তা করতে থাকে।
প্রধান গবেষক হাইয়ান জিয়া বলেন, বড়রা কিছু করার আগে তার ভালো-খারাপ দিকগুলো চট করে ভেবে নেন। খুব গভীরভাবে না ভাবলেও এমনিতেই তাদের মাথায় এসব চলে আসে। অভিজ্ঞতা তাদের যেকোনো বিষয়ের ঝুঁকিপূর্ণ দিক সম্পর্কে অবচেতন মনকে সচেতনর রাখে। কিন্তু টিনএজাররা তেমন নয়। তারা কিছু না ভেবেই এমন কাজ করে ফেলে।
এ গবেষণায় ২০১২ সালের ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ এর ‘টিনস অ্যান্ড প্রাইভেসি ম্যানেজমেন্ট সার্ভে’ থেকে তথ্য নেওয়া হয়। আমেরিকার ৫৮৮ জন টিনএজারের সোশাল মিডিয়া ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, তারা সোশাল মিডিয়াকে এমন এক প্লাটফর্ম হিসেবে চিন্তা করেন যেখানে নিজেকে উন্মুক্ত করে দিতে দিতে হয়। এমন ভাবনা থেকে তারা প্রায়ই এমন কাজ করে বসেন যার ফলে তাদের গোপনীয়তা পুরোপুরি উন্মোচিত হয়ে যায়। যখন এসব কাজ বিপদ বয়ে আনে, তখনই তারা ভুলে মাশুল গোনে এবং নানা নিরাপদ উপায় গ্রহণের চেষ্টা করে। এর মধ্যে রয়েছে বড়দের কাছ থেকে নানা পরামর্শ নেওয়া, অনলাইনে প্রকাশিত তথ্য মুছে ফেলা অথবা অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া।
গবেষকরা বলেন, প্রথমত আমরা টিনএজারদের এই আচরণকে এড়িয়ে যেতে পারি না। বয়স অনুযায়ী তাদের মাঝে এই অনভিজ্ঞতা থাকবেই। কাজেই তাদের বিষয়টি দেখে রাখতে হবে। তাদের শেখাতে হবে সোশাল মিডিয়ায় কিভাবে বিপদ এড়িয়ে চলতে হয় এবং সমস্যা হয়েই গেলে কি করতে হবে। সূত্র : জি নিউজ, কালের কণ্ঠ
Discussion about this post