অভিষেক জানান, কোনো কিছু নিয়ে তর্ক বা বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া হলে একজোট হয়ে যান জয়া-ঐশ্বরিয়া! তখন তারা বাংলায় কথা বলতে থাকেন বলে কিছুতেই পেরে ওঠেন না অভিষেক। পারবেন কীভাবে? তিনি যে বাংলায় কাঁচা! বাধ্য হয়েই থেমে যেতে হয় তাকে। বলিউডের এই অভিনেতা বলেছেন, ‘মা আর অ্যাশ আমাকে কাবু করতে বাংলায় অনর্গল কথা বলতে থাকে। মা বাঙালি বলে ভাষাটা জানেন। আর ঐশ্বরিয়া কাজ করেছে ঋতুদার (ঋতুপর্ণ ঘোষ) ‘চোখের বালি’ ছবিতে। সেজন্য বাংলা বলতে পারে ও। তাই যখন আমাকে নাস্তানাবুদ করা দরকার, তাদের প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে বাংলায় কথা বলা।’
বাংলা ভাষা নিয়ে অভিষেক আরও বলেছেন, ‘বাংলা অল্প অল্প বুঝি। তবে খুব একটা বলতে পারি না। নানি সবসময় অভিযোগ করেন, বাড়ির একমাত্র আমিই ঠিকঠাক বাংলা বলতে পারি না। এমনকি বাবাও বাংলায় কথা বলতে পারেন। এর কারণও আছে। জীবনের শুরুর দিকে বেশকিছু বছর কলকাতায় কেটেছে তার। বাংলায় দিব্যি কাজ চালিয়ে নিতে পারেন তিনি। পরিবারে আমিই শুধু ব্যতিক্রম।’
বাংলা পারদর্শী না হলেও অভিষেক বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘অন্তরমহল’-এ দেখা গেছে তাকে। সেই স্মৃতি হাতড়ে তিনি বললেন, ‘ঋতুদার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা চমৎকার। তিনিই একমাত্র পরিচালক, যার ছবিতে আমাদের পরিবারের সবাই কাজ করেছেন। মজার বিষয় হলো, ‘অন্তরমহল’-এর কাজ যে বাড়িতে হয়েছিলো, বাবা ‘পিকু’র কাজ করেছেন সেখানেই।’
ভারতের বাংলা ছবির খোঁজখবর নিয়মিত রাখেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। তার কথায়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় অসাধারণ কিছু ছবি তৈরি হয়েছে। ইচ্ছা আছে, ভালো চিত্রনাট্য পেলে বাংলা ছবি প্রযোজনা করবো।’
পরিবারে কাজ নিয়ে পরিবারের কেউই আলোচনা করেন না বলে জানান অভিষেক। তিনি বলেছেন, ‘ঘরে থাকলে আমরা সবাই মিলে পরিবার হয়ে থাকি। এর বাইরে কিছু না। কাজ নিয়ে কথা বলি না খুব একটা। ঘরের এই ব্যাপারটা সবাই কঠোরভাবে মেনে চলি। দিনে অন্তত একবেলা সবাই মিলে বসে খাই আমরা। এই তো!’
Discussion about this post