বার আবদুল মালেক নামের এক বখাটের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ গেল দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর। নিহত ওই শিক্ষার্থী কনিকা ঘোষ (১৫)। সকালে শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়িতে ফেরার পথে কনিকা নির্মম মৃত্যুর শিকার হয়।
শুধু কনিকাই নয়, বখাটের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৩ শিক্ষার্থী। তারা হল তানজিমা খাতুন (১৭), তারিন খাতুন (১৪), মরিয়ম (১৪)।
এদের মধ্যে তানজিমা ও তারিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের সবাই স্থানীয় মহিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক আবদুল মালেককে আটক করেছে পুলিশ।
সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের মৃত লক্ষণ ঘোষের মেয়ে কণিকা ঘোষ। একই ইউনিয়নের অরুণবাড়ি বেহুলা গ্রামের তাজেমুল হকের মেয়ে তানজিমা খাতুন (১৪), বেহুলা গ্রামের মকবুল হকের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (১৪) ও মহিপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে তারিন খাতুন (১৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে ওই শিক্ষার্থীরা মহিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। সকাল ৯টার দিকে তারা পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে আবদুল মালেক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের এলোপাথাড়ি কোপায়।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, কনিকাসহ তার ৩ সহপাঠী মহিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফিরছিল।
ওই সময় মহিপুর মেডিকেল মোড়ে একই ইউনিয়নের দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল মালেক (২২) পেছন থেকে তাদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো হাসুয়া দিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের এলোপাথারি কোপায় সে।
আহতের দ্রুত নবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে পথেই মৃত্যু হয় কণিকা ঘোষের। তানজিমা, তারিন ও মরিয়মকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তানজিমা ও তারিনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ খুনি আবদুল মালেককে আটক করলেও কী কারণে এ হামলা চালানো হয়েছে তা এখনো উদঘাটন করতে পারেনি।
Discussion about this post