রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় চার্জশিটের পাশাপাশি ধর্ষণ প্রমাণের আলামত আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসমত আরা এমি আদালতে চার্জশিট দাখিলের পাশাপাশি আলামত ও প্রতিবেদন জমা দেন।
যেসব আলামত আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিজিটাল ফরেনসিক প্রতিবেদন, দু’টি ভিডিও ক্লিপ, ধর্ষণের আগে ও পরের একাধিক স্থিরচিত্র, ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষার্থীর ব্যবহার করা পোশাক, আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে হালিমের ডিএনএ নমুনার প্রতিবেদন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক প্রতিবেদন রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদারকি কর্মকর্তা ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপ-কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক প্রতিবেদন ও সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিক প্রতিবেদনসহ মামলার বাদীর বান্ধবীর ব্যবহার করা পোশাকের ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন ও আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে হালিমের নমুনার ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
ফরিদা ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিক প্রতিবেদনের সঙ্গে ধর্ষণের আগে ও পরে রেইনট্রি হোটেলে ধারণ করা দু’টি ভিডিও ক্লিপ ও বেশকিছু স্থিরচিত্র জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে।’
তিনি জানান, ভিডিও চিত্রে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীর বন্ধুদের মারধরের চিত্র উঠে এসেছে। ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও করেছিল বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও ভিডিও সিআইডির পরীক্ষায় ধরা পড়েনি। অন্যদিকে ধর্ষণের শিকার মামলার বাদীর পোশাকে আসামির নমুনার ডিএনএ শনাক্ত হয়নি।
চার্জশিট দাখিল ও আলামতের প্রতিবেদন দাখিলের পর মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করতে না পারলেও ধর্ষণের আগে ও পরে ধারণ করা মারধরের ভিডিও ক্লিপ দু’টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলামত। এই দু’টি ভিডিওচিত্র ও অসংখ্য স্থিরচিত্রের মাধ্যমেই ধর্ষণের ঘটনাটি আগে থেকে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রতিয়মান হয়। সেভাবেই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া যাদের মারধর ও বকা-ঝকা করা হয়েছে তাদের সবাইকে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী করা হয়েছে। এর বাইরে আরও অন্তত ৪৫ ব্যক্তিকে এই মামলার সাক্ষীর তালিকায় রাখা হয়েছে।
বাংলা ট্রিবিউন
Discussion about this post