চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে গণপিটুনিতে আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি জাবেদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। এ সময় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিটু দাশ ও কনস্টেবল আল আমিনও আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ১২টা দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জাবেদ মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগরের শ্যালক। গণপিটুনির নামে জাবেদই মহিউদ্দিন সোহেলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছিল বলে জানিয়েছেন ওসি সদীপ কুমার দাশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আশিকুর রহমান বলেন, মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছোঁড়ে আসামিরা। আত্মরক্ষর্থে পুলিশও গুলি ছুঁড়লে আহত হয় জাবেদ।
জাবেদকে পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাতে ও উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ওসি সদীপকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের খোয়া যাওয়া একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্রশস্ত্র এবং ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর ৮ জানুয়ারি রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমদ সওদাগর ও সদস্য ওসমান খানসহ ২৭ জনকে এজাহারনামীয় ও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
Discussion about this post