বিডি ল নিউজ:
বরিশাল নগরীতে মোসা. আসমা আক্তার (৩৪) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার ওপর এসিড নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নগরীর বান্দরোডের বিআইপি কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাতেই তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
এসিড সন্ত্রাসের শিকার মোসা. আসমা আক্তার বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিবিএ নেতা আবুল হোসেন তালুকদারের মেয়ে ও ঝালকাঠির আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
সোমবার বেলা ১১টায় মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভিকটিমের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে সাক্ষাত করেন।
এ সময় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রউফ জানান, রোববার গভীররাতে দুবৃত্তরা বিআইপি কলোনির এফ-১/৮ ভবনের নীচতলার একটি ফ্লাটের জানালা দিয়ে স্কুল শিক্ষিকা মোসা. আসমা আক্তারের শরীরে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। এতে তার শরীরের একাংশ ঝলসে যায়।
বর্তমানে ভিকটিমের চিকিৎসার ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাথমিক আলামত উদ্ধার করা হচ্ছে। মামলা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এসিড সন্ত্রাসের শিকার আসমা আক্তার জানান, বর্তমানে ফরিদপুরে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে চাকরিরত মো. মাসুদ আলমের সঙ্গে ২০০২ সালে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ৯ বছরের সংসার জীবনে তাদের ৮ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ৯ বছর পরে ২০১১ সালে তার স্বামী কাজীর মাধ্যমে একটি তালাকনামা পাঠান। এ ঘটনা তিনি মেনে নিতে না পেরে সংসার ফিরে পেতে পারিবারিক আদালতে একটি মামলা করেন। এতে তার স্বামী বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে বেশ কিছুদিন ধরে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন।
সোমবার সকালে ওই মামলায় বরিশালের সিনিয়র জজ পারিবারিক আদালতে ধার্য্য দিন ছিল।
তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, ওই ঘটনার জের ধরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ ঘটনা ঘটাতে পারেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ভিকটিমের শরীরের ৩৬ ভাগ পুড়ে গেছে। তিনি বর্তমানে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
Discussion about this post