বরিশাল প্রতিনিধি: গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যের তদন্ত কমটি তদন্ত শুরু করে। শনিবার থেকে আগামী চার দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে তদন্ত কাজ চলবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত দলের আহবায়ক হিসেবে আছেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন ব্যস্থাপনা-২ ) খোন্দকার মিজানুর রহমান। অন্য তিন সদস্য হলেন, কমিশনের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) শহিদ আব্দুস ছালাম, সিনিয়র সহকারী সচিব (সংস্থাপন- ২) মো. শাহ আলম। তদন্তের সময় আরও উপস্থিত থাকছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটানিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
তদন্ত দলের আহ্বায়ক খোন্দকার মিজানুর রহমান সংবাদকর্মীদের জানান, মোট ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ফল স্থগিত এবং একটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ থাকার পর, প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আরও ১৪ টি কেন্দ্রের তদন্ত করা হচ্ছে। নির্বাচনে কী অনিয়ম ঘটেছিল, সে ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই অনুযায়ী আগামী চার দিন আমরা মোট ৩০টি কেন্দ্রের তদন্ত করবো। অনিয়মের ধরণ, তার জন্য দায়দায়িত্ব কার ছিলো, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখবো।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘এসব অনিয়মের তদন্তে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার, ভোট কেন্দ্রের ইনচার্জসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও আনসার প্লাটুন কমান্ডারদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। ওই সব কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টদের বক্তব্যও আমরা গ্রহণ করবো।’
এই নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘৩০টি কেন্দ্রের তদন্তের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের আমরা ডাকছি না। তবে প্রার্থীরা যদি কোনও বক্তব্য দিতে চান তাহলে সেটা আমরা নিচ্ছি। কোনও প্রার্থী যদি লিখিতও অভিযোগ দিতে চান, তাহলে সেটাও আমরা গ্রহণ করছি।’
মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আগামী ১৪ আগস্ট এই তদন্ত শেষে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এর রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে। এই তদন্তের ওপর ভিত্তি করে ওইসব কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হবে কি-না বা সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে কি-না, সেসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আমরা শুধু সংগৃহীত সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার জন্য রিপোর্ট দেবো।’
নগরীর কাশিপুর সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে চার দিনব্যাপী তদন্ত কার্যক্রমের প্রথম দিন শনিবার ৭টি কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রগুলো হলো– সৈয়দা মজিদুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফারিয়া কম্যুনিটি সেন্টার, সরকারি মহিলা কলেজ, বরিশাল সিটি কলেজ, আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-১ ( কটন স্পিনিং ভবন ও জুট সেড)।
এ/কে
Discussion about this post