সিরাজগঞ্জ জেলা আদালত প্রতিনিধিঃ-
কড়া রোদ্দুর মাথায় নিয়ে গায়ে কালো কোর্ট, গলায় কালো টাই, গাউন হাতে ফাইল সহ বিজ্ঞ ব্যস্ততম মানুষটিকেই আমরা সমাজে আইনজীবী বলে জানি। কিন্তু বর্তমান করোনাকালীন সময়ে সিরাজগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গনের বাহিরে আর চেনা বোঝার উপায় নেই সে ব্যক্তিটি একজন বিজ্ঞ আইনজীবী। সবকিছু হারিয়ে শুধু গলার কালো টাইটিই রয়ে গেছে, ধারাবাহিক পরিচিতির অবলম্বন সরূপ। মুখে উঠে গেছে মাস্ক, অনেকের আবার পিপিই ছাড়াও নানান করোনামুখী সচেতনতা। ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকদের মাঝে দেখা গেছে একই গতিক হালকা পোষাক এবং করোনা সচেতনতা।
এজলাস এখন ফাঁকা ঘর মাত্র, পূর্বের অবস্থার সহিত তার বর্তমান অবস্থা বিবেচনাতিত। তবে সমাগমটা ঘটে এজলাসের বারান্দায়, বিচারপ্রার্থীরা দূরে থাক এজলাসের দরজায় ঝুলিয়ে দেওয়া আছে সনদপ্রাপ্ত ব্যতিত প্রবেশ নিষেধ। এতে করে বার কাউন্সিল বা এসোসিয়েশনের ট্রেনিং ব্যতীত শিক্ষানবিশদের শেষ ভরসা এজলাসে থেকে দেখে শেখার প্রক্রিয়া এখন ক্ষীণ হয়ে গেছে।
তবে করোনা যেমন থামিয়ে রাখতে পারেনি ক্ষুধার জ্বালা, তেমনি থেমে নেই সমাজে অপরাধের ধারাবাহিকতা তাই বিচার প্রার্থীর সংখ্যাও রয়েছ আদালতে চোখে পরার মতন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অনুধাবন চাহিদা মাফিক কাজের সংখ্যা কমিয়ে রেখেছে আদালতে আজন্ম চিটার দালালের দৌরাত্ম্য।
নানামুখী পদক্ষেপের ভেতর বিগত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে জেলা জজ প্রদত্ত আইনজীবী সহকারীদের আইডি কার্ড সহকারে এজলাসে প্রবেশ সহ চিটার, দালালদের থেকে আদালতের আইনের ন্যায্য কার্যক্রমের উদ্দেশ্য যাতে ব্যহত না হয় সে প্রক্রিয়া চলমান।
রাহুল কুমার, সিরাজগঞ্জ জেলা আদালত প্রতিনিধি
Discussion about this post