চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপের কাছে বিক্রি করা আলোকদিয়া মৌজার ১২০ শতাংশ জমির দলিল কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এস আলম গ্রুপ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য এ এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করে।
২ ভাইয়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (০৮ মে) এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, অর্থ সচিব, পানিসম্পদ সচিব, বিদ্যুৎ সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এডিসি (রাজস্ব)সহ ১৩ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান মতি।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘বাঁশখালীর গণ্ডামারার আলোকদিয়া মৌজায় দুই আবেদনকারী ১২০ শতাংশ জমি সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ২০১১ সালে ৩ নভেম্বর তা রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু জমির সঠিক মূল্য হচ্ছে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘এর সমর্থনে ওই এলাকার আরও দলিল আদালতে উপস্থাপন করি। কম দামে জমি কেনার কারণে সরকার কয়েকশ কোটি টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি পায়নি। আর জমির মালিকরাও সঠিক দাম পায়নি। একইভাবে ৮০০ একর জমি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ক্রয় করার কারণে বিক্রেতাগণ ভিটে-মাটি ছাড়া জমির উপযুক্ত দাম পায়নি।’
অ্যাডভোকেট মতিউর আরো বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপক্ষে নই। তবে আমরা জমির সঠিক দাম চাই।’
উল্লেখ্য, আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম বড়ঘোনার মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের দুই ছেলে আবুল ফজল সিকদার ও আনোয়ারুল আজিম সিকদার।
উল্লেখ্য, বাঁশখালীতে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করতে যাচ্ছে এস আলম গ্রুপ। এই প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হয়নি এখনও। কিন্তু এরই মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নানা দরদামে জমি কেনা-বেচার দালালি করে নব্য কোটিপতি বনে গেছেন গণ্ডামারা ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত লোক। এদের বেশিরভাগই একসময় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
Discussion about this post