বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো সৌদি আরবের সরকার। বুধবার (১০ আগস্ট) দেশটির শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নেয়। গৃহকর্মী ছাড়া গত ছয় বছর ধরে সবরকমের বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ছিল সৌদিতে।
রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ’র বরাত দিয়ে সৌদির একটি সংবাদমাধ্যম বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় চালু হওয়ার বিষয়টি গত জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি বাদশাহ সালমান আল সৌদের মধ্যকার বৈঠকের ফলাফল।
শ্রমিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবরে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাংলাদেশের সব খাতের শ্রমিকের জন্য সুসংবাদ। এই সিদ্ধান্তের ফলে সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ, অদক্ষ শ্রমিক এবং ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, খামার ও নির্মাণকর্মীসহ সবরকমের পেশাজীবী নিয়োগের পথ সুগম হয়ে গেলো।
শ্রমিক নিয়োগ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাদশাহ সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ভালো-বৈরী সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে সৌদি আরব।
রাষ্ট্রদূতের তথ্যমতে, বর্তমানে সৌদিতে ১৩ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ৬০ লাখ নারী গৃহকর্মী।
গত জুন থেকে বাংলাদেশি পুরুষ গৃহকর্মী নিয়োগ শুরু হয় এবং এখন প্রতিমাসে ৬ হাজার নারীকর্মী সৌদি আসছেন জানিয়ে গোলাম মসীহ বলেন, এখানে প্রায় ৪৮টি খাতে কাজ করছেন আমাদের শ্রমিকরা। নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ফলে এসব খাতে ফের নিয়োগ পেতে শুরু করবেন বাংলাদেশিরা।
Discussion about this post