১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ টি দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের প্রথম ল’ অলিম্পিয়াড চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ এবং ৩০ আগস্ট সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল লিগ্যাল স্টাডিজের (এসসিএলএস) উদ্যোগে এই ল অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিয়াডের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রটেক্ট হিউম্যান রাইটস, প্রমোট হিউম্যানিটি।’
এই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৩২ টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতাটি মোট ৫টি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি ধাপের বিজয়ী দলকে পুরষ্কৃত করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ সেকান্দার খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন সেশন জাজকোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হোসেন আল আশকারী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং এসসিএলএস’র মডারেটর নির্মল কুমার সাহার সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসসিএলএস’র প্রতিষ্ঠাতা মডারেটর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম জসীম আলী চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুল হক বলেন, গনিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের মত ল’ অলিম্পিয়াড আয়োজন করার জন্যে এসসিএলএস অবশ্যই ধন্যবাদের প্রাপ্য। সারা দেশের ১৫ টি দল নিয়ে করা এ অলিম্পিয়াড ছাত্রছাত্রীদের আইনের প্রতি আরও আকৃষ্ট, আরও আগ্রহী করবে বলে আমি আশাবাদী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ সেকান্দার খান বলেন, ‘ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটি এই ল’ অলিম্পিয়াডের ভেন্যু হওয়ায় আমরাও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম।’
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে মোট চারটি দল অংশগ্রহণ করে। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’র টিম অ্যাকুইনাস এবং রানার্সআপ হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম অবজেকশনস।
Discussion about this post