নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে কোটা অবশ্যই থাকবে, তবে এটি সংস্কার করা উচিত। আগামী বাজেটের পরে কোটা সংস্কারে হাত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীতে সচিবালয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) লভ্যাংশ প্রদান অনুষ্ঠান তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘কোটা এখন যা আছে, তা বোধহয় অনেক বেশি হয়ে গেছে। এটা সংস্কার করা উচিত। তবে কোটা থাকতেই হবে। সমাজে যারা পশ্চাৎপদ, তাদের জন্য কোটা থাকা উচিত। প্রশ্ন হচ্ছে কত শতাংশ থাকবে? আগামী বাজেটের পরে কোটা সংস্কারে হাত দেয়া হবে।’
সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা কোটা। কোটা অনুযায়ী যত পদ আছে, তত লোক পাওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা কত অংশ থাকবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতেই কোটা প্রথা থাকতে হবে। আসন্ন বাজেটের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উথ্থান-পতনের কোনও সুযোগ নাই। এটিকে এখন আর ‘ফটকাবাজার’ বলা যাবে না। গত ৬ বছর বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। পুঁজিবাজার এখন ঠিক হয়ে গেছে। এখন সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন ম্যানজেমেন্টে পরিবর্তন আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক যে সংশয় প্রকাশ করেছে তা তারা প্রতি বছরই করে। এ বছর আমার দৃষ্টিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে কমপক্ষে ৭দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী তিন মাস পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’
Discussion about this post