চাঁদাবাজি এবং ভাঙচুরের অভিযোগে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), এক এসআই এবং দুই এএসআইসহ আট জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (১১ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাযহারুল ইসলাম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার দায়িত্ব দেন আদালত।
বাদীর আইনজীবী মো. ইস্পাহান মির্জা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, আদালতে গত বুধবার মামলাটি করেছেন উত্তর বাড্ডা পূর্বাচল সড়কের ২৪ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা নুরুননাহার নাছিমা বেগম।
মামলার আসামিরা হলেন- বাড্ডা থানার ওসি এমএ জলিল, এসআই শহীদ, এএসআই দ্বিন ইসলাম ও মো. আব্দুর রহিম, জাহানারা রশিদ রূপা, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কায়সার এবং মো. শুকুর আলী। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩ জন কনস্টেবলসহ সিভিল পোশাকের আরও ৫/৭ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ জুন ওসির আদেশে আসামিরা বাদীর বাসায় এসে তার ছেলেকে আসামি জাহানারা রশিদের বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলে। বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় আসামিরা তার ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে, বাসায় ভাঙচুর করে ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার এবং জমির কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা বাদীর ছেলেকে হত্যার হুমকিও দেয়।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ মে আসামি এমএ জলিলের আদেশে অন্য আসামিরা বাদীর বাসার ভাড়াটিয়াকে বের করে ফ্লাটে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে নেয়। পরে চাবি ফেরত চাইলে বাড্ডা থানার এএসআই আব্দুর রহিম দুই লাখ টাকা দাবি করে সরাসরি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। না দিলে বিপদে পড়ার হুমকি দেন তিনি।
Discussion about this post