বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম ২য় আদালতের বিচারক ফারহানা ইয়াসমিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আসামি বাদলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) সুরঞ্জিত তালুকদার।
বুধবার (২২ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন স্থানীয় জনতা।
গ্রেফতার হওয়া বাদল মিয়া সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়া এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে।
এদিকে, মামলার অপর আসামি আলী হায়দারকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য একই আদালতে আনা হয়েছে। আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইতোমধ্যে এ নিয়ে রাজন হত্যা মামলায় আলী হায়দারসহ মোট ৭ আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (২২জুলাই)মামলার প্রধান আসামি মুহিত আলম দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়া চৌকিদার ময়না, চা দোকানি দুলাল, নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শী আসামি ফিরোজ আলী ও আসমত উল্লাহ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর মামলায় এ পর্যন্ত কামরুল ব্যতীত এক নারীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৮ জুলাই সকালে চোর সন্দেহে পৈশাচিক নির্যাতন করে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে হত্যা করা হয়। শিশু রাজনকে পেটানোর ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে নির্যাতনকারীরাই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ২৮ মিনিটের ওই ভিডিও দেশ-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
Discussion about this post