সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসেছেন ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ নিহত এসআই আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভীন রিনি এবং ভাগ্নি মুর্শিদা জাহান ডলি। বুধবার সকালে তারা লালদীঘিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে পৌঁছেছেন।
জানতে চাইলে জান্নাত আরা পারভীন রিনি বলেন, বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে আমাদের কিছু অভিযোগ আছে। আমরা সেগুলো জানানোর জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আসার অনুমতি চেয়েছিলাম। তিনি অনুমতি দিয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মো.কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমি তাদের আসতে বলিনি। তারাই এসেছেন।
বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনের প্রায় ৯ মাস পর আকস্মিকভাবে এসআই আকরামের মৃত্যুর সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেন। আকরামের বোন রিনি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, সড়ক দুর্ঘটনা নয়, আকরামকে খুন করা হয়েছে। এর সঙ্গে বাবুল আক্তার সম্পর্কিত বলেও অভিযোগ করেন রিনি।
এছাড়া বাবুল আক্তারের সঙ্গে এস আই আকরামের স্ত্রীর সম্পর্কের অভিযোগও করেন রিনি। তবে আকরামের স্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন সদর দপ্তরে কর্মরত তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকান্ডের পর ২৪ জুন রাতে বাবুল আক্তারকে রাজধানীতে তার শ্বশুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে টানা ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মামলার বাদিকে আসামির মতো তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে দেশজুড়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে ইঙ্গিত করে খবর প্রকাশ হয়। ঘটনা পরম্পরায় পুলিশের চাকরিতেও ইস্তফা দেন বাবুল আক্তার।
তবে শুরু থেকেই বাবুল আক্তারের শ্বশুর-শাশুড়ি জামাতার পক্ষে কথা বললেও সম্প্রতি তারাও মিতু খুনের জন্য বাবুলকেই দায়ী করে আসছেন। তবে বাবুল আক্তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এই অভিযোগ নাকচ করেন।
সুত্র বাংলা নিউজ
Discussion about this post