বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী মরিয়ম খাতুন। বাল্য বিয়ের আয়োজন করার দায়ে কনের বাবাসহ চারজনকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান শামীম ইকবাল জানান, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের দামগাড়া মির্জাপুর গ্রামের রফিকুল সর্দারের মেয়ে চালা মোকামতলা মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুনের (১২) সঙ্গে পাশের রামকৃষ্টপুর গ্রামের মৃত কছিমুদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদের (১৯) বিয়ে ঠিক করা হয়।
শুক্রবার (১১মার্চ) বাদ জুম্মা কনের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করা হয়। পরে বরযাত্রীসহ স্থানীয় মসজিদের ঈমাম কনের বাড়িতে আসেন।
গ্রাম পুলিশের সদস্যরা জানান, কনের বাবাকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে জানানোর পরেও বিয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ কনের বাড়িতে যায় এবং বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়। এসময় কনের বাবা ও বরসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।
পরে আটক ব্যক্তিদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ৬ ধারায় কনের বাবাকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও বরসহ তিনজনের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন -কনের বাবা রফিকুল সর্দার (৩৫), বর রুবেল (১৯), মুকুল হোসেন (৩৫) ও আনসার আলী(৩২)।
Discussion about this post