তিনি বলেন, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করে এ গণবিরোধী ভূমিকা বন্ধ না করলে সরকার শিগগিরই গণবিক্ষোভের মুখে পড়বে। এজন্য বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন এবং ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির ৯ দফা দাবির কথা জানান এডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন।
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব দাবি আদায় না হলে ৫ ডিসেম্বর লালদীঘি ময়দানে নাগরিক সমাবেশ করার ঘোষণাও দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠে এডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন বলেন, নতুন বছর শুরুই হয় ভাড়া বৃদ্ধির আতঙ্ক দিয়ে। এজন্য আদালত পর্যন্ত যান অনেকে। বাড়তি ভাড়া দিতে না পারলে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া ছাড়া বাকিদের সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকে না।
তিনি বলেন, দেশে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৯১ সালের একটি পুরোনো আইন আছে। আইনে বলা আছে, ভাড়াটের কাছে কোনো ধরনের জামানত বা টাকা দাবি করা যাবে না। অগ্রিম হিসেবে এক মাসের ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না। প্রতি মাসে ভাড়া পরিশোধের রসিদ দিতে হবে। কিন্তু আইনকানুনের ধার ধারে না কেউ। আর আইন থেকেও নেই। একদিকে আইনটি উপযোগিতা হারিয়েছে, অন্যদিকে এর কোনো প্রয়োগও নেই। সরকার বাড়িওয়ালাদের স্বার্থরক্ষার জন্য বাড়িভাড়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গত ২৫ বছরে (১৯৯০-২০১১) ৬টি বিভাগীয় শহরে প্রায় ২৫০ শতাংশ বাড়িভাড়া বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, লাগামহীন এ বাড়িভাড়ায় মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। বাড়িভাড়া নিয়ে নামমাত্র যে আইন আছে, সেটি বাস্তবায়িত হয় না। ফলে বাড়ির মালিকরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন, বছর বছর ভাড়া বাড়াচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৌকির আহমদ, সহ-সভাপতি এসএম শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, এড. জোবায়ের বাপ্পী, এড. সাইদুল করিম (মারুফ), সামজাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন (ফয়সাল), এমএ মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিমুল হক খাঁন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. সোলায়মান, দপ্তর সম্পাদক মো. জাহেদ, অর্থ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. শরীফ উদ্দীন, হাবিব বিন ছাত্তার আরজু, আবদুল আহাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী , সওরয়ার ওসমান, প্রচার সম্পাদক মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, নির্বাহী সদস্য নুর মো. ফরিদুল আলম ও রাজু আহমেদ রানা প্রমুখ।
Discussion about this post