ডেস্ক রিপোর্ট: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বাবা মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে মেয়ে রত্মা বেগম ও মেয়ের জামাই এবং ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে বাবা ও মা। উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হাসিল বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ রবিবার বিকেলে সরিষাবাড়ী থানায় বাবা হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে মেয়ে রত্মা বেগমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী ভাটারা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জামালপুর সদর উপজেলার হাসিল বটতলা গ্রামের নিজ বসত বাড়িতে বসবাস করে আসছিল হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী। হাবিবুর রহমানের চার মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে মেয়েরা কেউ বাবা মাকে দেখভাল করে না, কোনো প্রকার ভরন পোষণ দেয় না। হাবিবুর রহমান বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীকে নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করে আসছেন। বসত ভিটার
আট শতাংশ জমি শেষ সম্ভল হাবিবুর রহমানের। এদিকে ওই বসত ভিটার আট শতাংশ জমি ছেলে মেয়েদের নামে রেজিষ্টার করে দেয়ার জন্য পায়তারা চালায় তার সন্তানরা। জমি লিখে না দেওয়ার অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে তিন মেয়ে এক ছেলে ও দুই মেয়ের জামাই। ছেলে মেয়েদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত এক মাস আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে তারা দু-জন।
পরে তারা সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার বাউসী বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। হঠাৎ গত দুই দিন আগে হাবিবুর রহমানের বড় মেয়ে রত্মা বেগম বাড়ি লিখে দিতে হবে না বলে কৌশলে বাবা মাকে ভাড়া বাড়ি ছাড়িয়ে দিয়ে হাসিল বটতলা নিজের বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে হাবিবুর রহমানের মেয়ে রত্মা বেগম, শিফা খাতুন, রিক্তা খাতুন, ছেলে বিল্লাল হোসেন এবং মেয়ের জামাই ইব্রাহীম ও গোলাম মোস্তফা ফের জোর পূর্বক জমি লেখে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী রবিবার সকালে বাড়ি থেকে চলে আসেন। এবং বসতভিটা রক্ষার্থে ওই দিন বিকেলে সরিষাবাড়ী থানায় বড় মেয়ে রত্মা বেগমকে প্রধান আসামি করে শিফা খাতুন, রিক্তা খাতুন, ছেলে বিল্লাল হোসেন এবং মেয়ের জামাই ইব্রাহীম ও গোলাম মোস্তফাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
হাবিবুর রহমানের বড় মেয়ে রত্মা বেগম সরিষাবাড়ী পৌর সভার সামর্থবাড়ী গ্রামের রেজাউল হকের স্ত্রী।
সরিষাবাড়ী থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post