নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রাজধানীতে তুলে রবিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
শনিবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঢাকাবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে এ হরতাল কর্মসূচি পালনের আহবান জানান তিনি। এ সময় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিএনপি’র পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল।
শনিবার সকাল থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনভর ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা। দলের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় অভিযোগ।
ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। এখন পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দুই সিটিতেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে সরকারি দলের প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন।
এর মধ্যেই এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে হরতালের ডাক দিলো দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। ২০১৫ সালে টানা কয়েক মাস আন্দোলনের পর হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে আসে বিএনপি। এমনকি দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরেও হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচির ডাক দেয় দলটি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভরাডুবি সত্ত্বেও হরতাল ডাকেনি বিএনপি।
ভোটগ্রহণ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই নির্বাচন একটি তামাশা। সিটি নির্বাচন শুরুই হয়েছে বড় রকমের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে নিজে ভোট দিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এটা সরাসরি নিবাচনে হস্তক্ষেপের শামিল। কোনোক্রমেই তার বক্তব্য নির্বাচন আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না।’
নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে তখন তিনি বলেন, ‘অনেক ভোটকেন্দ্রে নানান রকম অনিয়ম হলেও সরকারি বাহিনী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএমে ধানের শীষের প্রতীক ছিল না। ফলে অনেক ভোটার ধানের শীষে ভোট দিতে পারেনি। অনেকে ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটারদের ভোট না দিতে দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post