নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএনপির ১৪ শীর্ষ নেতাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতের বিষয়ে আদেশ পিছিয়ে আগামী ১১ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সময় আবেদনের কারণে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বিএনপির নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতাদের জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগ। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদেশের দিন পিছিয়েছে আদালত।
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল ও খিলগাঁও থানায় করা দুই মামলায় গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচনের আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান ও ডাক্তার এম জেড জাহিদ, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ শীর্ষ ১৪ নেতা।
পরে জামিন স্থগিতের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এরপর ৭ জানুয়ারি আপিল শুনানির জন্য ঠিক করা হয়। ওইদিন আপিল শুনানি না করে ২০ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২০ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি, পরে আবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি মুলতবি করা হয়।
এর আগে ১ অক্টোবর হাতিরঝিল থানায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৫ নেতার নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া খিলগাঁও থানায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অপর একটি নাশকতার মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আক্রমণ, যানবাহন ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাঁশের লাঠি, পেট্রলবোমা, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, কাচ ও ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
Discussion about this post