রাজধানীর খিলগাঁও থানার করা গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদসহ দলের ১৪ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মহানগর হাকিম এমদাদুল হক আজ মঙ্গলবার বিকেলে মামলাটির অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, দলের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু এবং হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, শফিউল বারী বাবু, সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, এম এ কাইয়ুম, লতিফ কমিশনার, সেলিম মিয়া ও আমির হোসেন মিন্টু।
গত ২৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। এতে পলাতক দেখিয়ে এই ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
ওই অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানির দিনে আজ আসামিদের মধ্যে মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ ছয়জন আদালতে হাজির ছিলেন। মামলার অপর এক আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এ ছাড়া এম কে আনোয়ার, রুহুল কবির রিজভী ও আমান উল্লাহ আমান জামিনে থেকে সময়ের আবেদন করেছেন। বাকি ১৪ আসামি হাজির না থাকায় আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
যদিও পরোয়ানার এ আসামিদের মধ্যে শওকত মাহমুদসহ কয়েকজন কারাগারেই রয়েছেন। এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আদালতকে না জানানোয় এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এ বছরের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে তুরাগ পরিবহনের একটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর গাড়িটির মালিক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন।”প্রথম আলো
Discussion about this post