বাংলাদেশ থেকে পলাতক ২৩০ অপরাধীর তালিকা ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই তালিকায় ছোট-বড় সব ধরনের অপরাধীদের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিষয়ে বৈঠক থেকে ফিরে শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) পিলখানায় বিজিবির সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিটি সীমান্ত সম্মেলনেই অপরাধীদের তালিকা হস্তান্তর করা হয় উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মন্ত্রণালয়সহ দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এসব অপরাধীদের তালিকা সংগ্রহ করি। এবারও আমরা বিভিন্ন ধরনের পলাতক অপরাধীদের একটি তালিকা বিএসএফ’র কাছে দিয়েছি।
এ বিষয়ে ভারতের বিএসএফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা আমাদের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। অতীতেও তারা পলাতক সন্ত্রাসীদের আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে, যোগ করেন বিজিবি ডিজি।
তিনি বলেন, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে বিজিবির পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন বিএসএফ মহাপরিচালক। তারা আমাদের কাছে অধিকতর সহযোগিতাও চেয়েছেন।
আজিজ আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনো তার ভূমি কোনো পক্ষকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগ দেয় না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই।
ভারতের কারাগারে সাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলাদেশিদের যথাসময়ে দেশে ফেরত নিয়ে আসার বিষয়ে উভয়পক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলেও জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ০৫ অক্টোবর পর্যরন্ত ভারতের নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অপর দিকে বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মা’র নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেয়।
দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে সীমান্ত হত্যা, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম/অনুপ্রবেশ ও মানব পাচার, গরু চোরাচালান, আগ্নেয়াস্ত্র/গোলাবারুদ/বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান, ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচার, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীসমূহের তীর সংরক্ষণ, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়।
Discussion about this post