লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাধারণ সভার জন্য প্রথমবার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও বিক্ষোভের আশঙ্কায় পরিবর্তন করা হয়। তবে, পরিবর্তিত তারিখে রোববার (১ নভেম্বর) কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সভা করলেও বিক্ষোভ এড়াতে পারেননি বিএনপি প্রধান। উপরন্তু বিক্ষোভের মুখে বিকল্প প্রবেশপথে সভাস্থলে যোগ দিতে হয়েছে খালেদা জিয়াকে।
এর আগে, গত মাসে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন খালেদা জিয়ার কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানে ব্যাপক হট্টগোল হয়। আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ এড়াতে কঠোর গোপনীয়তায় ওই অনুষ্ঠান হলেও দলের অভ্যন্তরের দু’গ্রুপেরই হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলায় খালেদা জিয়া–তারেক রহমান ভালোভাবে বক্তব্যই রাখতে পারেননি। এমনকি হট্টগোলের ঝক্কি খোদ তারেকের ওপর দিয়ে যায় বলেও সেসময় একটি সূত্র জানায়।
ওই সভার অভিজ্ঞতা এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রতিহতের হুমকির কারণে এবারের সভা নিয়ে বিএনপি অবলম্বন করে কঠোর গোপনীয়তা। প্রথম দফা তারিখ নির্ধারণ করেও নানা শঙ্কায় সভা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এরই মধ্যে খালেদা-তারেকের ওপর ‘ডিম হামলা’র ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খালেদার সভা নিয়ে আরও কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। দলীয় সূত্রমতে, সভার মাত্র চার ঘণ্টা আগে জানানো হয় সভাস্থলের নাম।
অবশ্য, খালেদার সভাস্থল জানতে গত ৩-৪ দিন ধরেই তৎপর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিএনপি প্রধানের সভা প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়, সমাবেশের স্থান কোথায় জানতে পারলেই যেন তারা বিক্ষোভের জন্য উপস্থিত হতে পারেন।
তবে, অজ্ঞাতপরিচয় চারজন এর আগে একবার খালেদা-তারেকের ওপর ডিম নিক্ষেপ করায় নেতাকর্মীদের ডিম বা অন্য কিছু বহন করতে আগ থেকেই নিষেধ করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতারা। সভাস্থলে ঠিকানা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী সেন্ট্রাল লন্ডনের রিভারব্যাংক পার্ক হোটেল প্লাজার সামনে গিয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এসময় তারা খালেদাকে ‘জঙ্গিমাতা’ আখ্যায়িত করে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নঈমুদ্দিন রিয়াজ, যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারোজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
Discussion about this post