নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা আগামী ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করে সরকার নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ঐদিন গেজেটটি আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছে, এটা শেষ সময়। আর কোনো সময় দেয়া হবে না।
সোমবার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নয় বিচারপরিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আজ সকালে চাকরি সংক্রন্ত বিধিমালা প্রণয়নের কাজ কতদূর এগিয়েছে সে বিষয়ে একটি এফডিভেট দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তাতে বলা হয়, চাকরির শৃঙ্খলা বিধির খসড়া রাষ্ট্রপতির দফতরে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু কবে পাঠানো হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে তা দিনক্ষণ উল্লেখ না থাকায় আপিল বিভাগ বলেছে, আপনাদের এই আবেদন অস্পষ্ট। এরপর আবেদনে শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়নের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আট সপ্তাহ সময চাওয়া হয়।
এ পর্যায়ের আপিল বিভাগ বলেন, আট সপ্তাহ কেন আটদিনও সময় দেব না। আপনার বার বার সময় আবেদনরকরছেন। আপনার যদি ভেবে থাকেন রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলেই তা মঞ্জুর করব, এটা দুর্ভাগ্যজনক। পরে আদালত ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করে দেন। এ পর্যায়ের অ্যাটর্নি জেনারেল আরো চারদিন সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু আপিল বিভাগ আবেদনটি নাকোচ করে দেন।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্তবিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠায়।
গত ২৮ আগস্ট এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে আপিল বিভাগ বলেছিলো, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবুহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একই সঙ্গে ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগকে এ বিষয়ে কোন অগ্রগতি জানাতে পারেননি অ্যাটর্নি জেনারেল।
Discussion about this post