নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রের আইনমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতির মতামতের পর বক্তব্য দেওয়ার এক্তিয়ার আমার নেই।
এর আগে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে গতকাল রোববার সিদ্ধান্ত দেন রাষ্ট্রপতি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের আইন মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
ট্রাইব্যুনাল সরানো প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের মতামত গুরুত্ব দেওয়া হবে। বর্তমান ট্রাইব্যুনালের কাজ শেষ হলে এটা জাদুঘরে রূপ নেবে।
এদিকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত চাকরির বিধিমালার গেজেট সরকারকে করতেই হবে জানিয়ে আজ (১২ ডিসেম্বর) সকালে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালত বলেছে, গেজেট করার জন্য একমাস সময় যথেষ্ট। এই বিষয়ে আমরা কোনো আপোষ করতে চাই না।
আজ আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আইন মন্ত্রণলায়ের প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন। ঐ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের জন্য পৃথক আচরণ বিধিমালা, শৃঙ্খলা বিধিমালা এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ ও বরখাস্তকরণ, সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৭ সংশোধনকল্পে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা নাই মর্মে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সানুগ্রহ সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা তো বিধিমালার কোনো খসড়া করে দেইনি। আপনারা (আইন মন্ত্রণালয়) এই খসড়া পাঠিয়েছেন মাজদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে কিছু সংশোধন করে দেয়া হয়েছে। অতএব এখানে রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আর সংসদীয় পদ্ধতিতে আপনার যা পাঠাবেন রাষ্ট্রপতি তাতেই সম্মতি দেবেন। এরপরই আদালত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রণয়ন করতে নির্দেশ দেয়।
Discussion about this post