মোঃ আজহার উল্লাহ ভুঁইয়া। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃত্ব পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁর মুখোমুখি হয়েছেন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কম সম্পাদক ড. বদরুল হাসান কচি।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে চলমান সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানের উদাহরণ দেওয়ার বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
আজহার উল্ল্যাহ ভূঁইয়া: এ বিষয়ে প্রথমে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, পাকিস্তানের এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষিত আলাদা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে সুপ্রিম কোর্ট বরখাস্ত করেছে। আমাদের দেশে সেরকম ঘটনা ঘটে নাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ নেই।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে চলমান সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির পাকিস্তানের ইস্যু উদাহরণ দেওয়া দুঃখজনক। আমাদের প্রসঙ্গের সাথে পাকিস্তানের প্রসঙ্গের কি মিল ছিল? সংবিধান ইস্যুতে রায়ের সমালোচনার সাথে দুর্নীতি মামলার উদাহরণ চলে? আমাদের প্রসঙ্গ ছিল বিচারপতি অভিশংসন পদ্ধতি নিয়ে। এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির অতি উৎসাহী এমন উদাহরণ অনভিপ্রেত।
কেউ কেউ এই উদাহরণকে হুমকি বলছেন-
আমি এটাকে হুমকি হিসেবে দেখি না। আমাদের সংবিধান রাষ্ট্রের তিনটি অর্গানকে কেউ কাউকে হুমকি দেয়ার অবস্থানে রাখেনি। রায়ের পর্যবেক্ষনের অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে এটা ঠিক। বিভিন্ন মহলের এই আলোচনায় প্রধান বিচারপতি কান না দিলেও পারতেন। অথচ এখানে উল্টো তিনি ধৈর্যহারা হয়ে পাকিস্তানের উদাহরণ টেনে আনলেন! মনে রাখা উচিৎ প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ধৈর্য ধারণ করে কর্তব্য পালন করতে হবে। তাছাড়া আমরা দেখেছি, ষোড়শ সংশোধনী মামলার শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি যেভাবে মামলাটি শুনেছেন সেখানেই পক্ষমূলক মনোভাব দেখা গেছে। বিচারকের আসনে বসে পক্ষমূলক মনোভাব দেখানোর সুযোগ নেই।
এখন তাহলে আপনারা কি করতে চাচ্ছেন-
আপত্তির জায়গা খুঁজে আইন মেনে রিভিউ করা হবে। বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
Discussion about this post