জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের (আবেদনের জন্য অনুমতি প্রার্থনা) শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার এর ওপর আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার (৫ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই দিন নির্ধারণ করে দেন।
একইসঙ্গে লিভ টু আপিলের আরেকটি অংশ রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে জেরার বিষয়েও আগামীকাল থেকে শুনানি শুরু হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার লিভ টু আপিলের ওপর প্রথম শুনানি হয়েছিল।
গত ২২ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নয় সাক্ষীকে জেরা ও দুই সাক্ষীকে পুনরায় জেরা-সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
দুদকের আইনজীবী জানান, ১১ সাক্ষীর বিষয়ে গত ২৭ জুলাই বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন নাকচ করে দেন। পরে দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরা এবং নয় সাক্ষীর মূল জেরা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দেন। তবে নয়জনের বিষয়ে এ মামলার অপর আসামি বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যে জেরা করা হয়েছে, তা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে (অ্যাডপ্ট) বলেছেন আদালত।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
Discussion about this post