বিচারক অপসারণের রায় ঘোষণার ৫ দিন পর বিচারক নিয়োগের নীতিমালার ওপর জারি করা হাইকোর্টের রুলের শুনানি শুরু হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১০ মে) শুনানি শেষে বুধবার (১১ মে) পর্যন্ত রুলের শুনানি মুলতবি ঘোষণা করেন। আজ আদালতে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো শুনানি গ্রহণ করা হয় এ মামলায়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন হাসান এম এস আজিম।
পরে তিনি আদালতে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ মামলায় দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শুনানি করেছি। আজকের মতো শুনানি শেষ করে আগামীকাল পর্যন্ত আদালত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে বিচারক নিয়োগে ভারতের আইন কমিশনের সুপারিশসহ ওই দেশের অভিজ্ঞতা আদালতে তুলে ধরেছি।’
বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন।
এ রিটের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ০৬ জুন বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না, তা জানাতে রুল জারি করেন ।
ওই সময় হাসান এম এস আজিম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে, যাতে সকলে অংশ নিতে পারেন।
পরে রিট মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিল। ওই বেঞ্চ ৭ জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন। তারা হলেন, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ।
Discussion about this post