দুই বিচারপতির মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে বিষয়গুলো নিয়ে তারা কথা বলছেন তা বাইরে আসার কোন প্রয়োজন ছিল না, এটি ব্যক্তিগত পর্যায়েই সমাধান করা যেতো-এক স্বাক্ষাতকারে সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এমপি এসব কথা বলেন।</p> তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তাকে সবাই শ্রদ্ধা ও মান্য করে। রায় লেখার বিষয়ে তিনি যে কথা বলেছেন তা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আবার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য অযৌক্তিক নয়। বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পর কিছুদিন সময়ের মধ্যে রায় লেখার প্রচলন অনেক দিন ধরেই আছে।</p> >আব্দুল মতিন খসরু আরও বলেন, সুপ্রিমকোর্ট মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। বিচারকরা অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। তারা এমন কোন কাজ করবেন না যাতে মানুষের আস্থা বিশ্বাসে কোন আঘাত আসে।</p> তিনি বলেন, প্রধান বিচাপতি অবসরে যাওয়ার পর রায় লেখা যাবে না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ভবিষ্যতের জন্য দিক নির্দেশনা মূলক। অতীতে নামকরা অনেক বিচারপতি অবসরে যাওয়ার পর রায় লিখেছেন। বিচারপতি মানিক যেসব অভিযোগ করছেন তাদের পর্যায়ে এসব অত্যন্ত ছোটখাটো বিষয়ের খবরগুলো বাইরে আসা উচিত হয়নি। তাদের বক্তব্যে বিব্রতবোধ করছি।</p> >সম্প্রতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মিডিয়ায় দেয়া বিভিন্ন বক্তব্য প্রসঙ্গে আব্দুল মতিন খসরু বলেন, বিচারপতি অবসরে যাওয়ার পরেও তিনি বিচারপতি। পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কোন বক্তব্য দেয়া তার উচিত হবে না। তাতে মানুষের সন্দেহ হবে যে, রায় দেয়ার সময় তিনি দলীয় ভাবাপন্ন ছিলেন।</p>
Discussion about this post