বিচাপতিরা সব ধরনের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। অথচ কোনও বিচারককে বিচারের মুখোমুখি হতে দেখিনি। বিচারপতিরা কি তাহলে সব ধরনের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে?’
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে ‘সংবিধান, সংসদ ও স্বাধীনতা’ শীর্ষক বৈঠকিতে এসব কথা বলেন সরকারদলীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান।
বৈঠকিতে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে আমরা রায়ের সমালোচনা করতে পারি। রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি না; সেটা হচ্ছে জবাবদিহিতা। আমার ৪৬ বছরে এমন কোনও উদাহরণ দেখাতে পারব না। সংবিধান অনুযায়ী আমরা রায় মানতে বাধ্য। অভজারভেশনও রায়ের একটি অংশ। কিন্তু একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগের বিচারের জন্য। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখন পর্যন্ত কোনও উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি। অথচ দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। কিন্তু বিচারপতিদের ক্ষেত্রে এমন উদাহরণ আমরা দেখিনি।’
সুপ্রিম কোর্ট হলো কোর্ট অব রেকর্ড। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়েরও রাজনীতিকিকরণের প্রচেষ্টা দেখা গেছে বল উল্লেখ করেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
বৈঠকিতে আরও উপস্থিত আছেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী, সাংবাদিক স্বদেশ রায় ও বাংলা ট্রিবিউনের প্ল্যানিং এডিটর নজরুল কবীর।
বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিওতে আয়োজিত মুন্নী সাহার সঞ্চলনায় বৈঠকিটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে এটিএন নিউজ।
Discussion about this post