‘বিচার চাই না’ এমন কথা দীপনের বাবা আবেগ ও বাস্তবতার নিরিখে বলেছেন। আর যেনো তাকে বা অন্য কাউকে এমন কথা বলতে না হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (০২ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী তার নিজ দফতরে দীপনের বাবা এবং তার নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন সাংবাদিকদের।
দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের কষ্টের অনুভূতির প্রতি সমর্থন জানিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুধু তাই নয় আইনমন্ত্রী নিজের অনুভূতি তুলে ধরে বলেন- এর চেয়ে আমার কাছে দুঃখজনক কিছু নেই যে, তিনি আবেগ ও বাস্তবতার নিরিখে এ কথা বলেছেন।
একজন ভিকটিমের পিতা, তার ছেলেকে হত্যা করেছে, আর তিনি বিচার চান না। তার আবেগ ও বাস্তবতার নিরিখে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্য যেনো আর পরবর্তীতে তিনি বা অন্য কেউ না দেন সে অবস্থার সৃষ্টি করতে হবে। তার মানে হচ্ছে, আমার দায়িত্ব হচ্ছে প্রসিকিউশনকে বলা। তদন্ত তদন্তকারী সংস্থার কাজ। এখানে আদালতের কিছু করার নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন এখন পর্যন্ত একই ধরনের একটি মামলা ছাড়া (ব্লগার রাজীব হত্যা মামলা) সব মামলাই তদন্তাধীন। সেই একটি মামলা চলছে, আমি প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দিয়েছি, আগামী ৮ নভেম্বর থেকে প্রত্যেক দিন (প্রত্যেক কার্যদিবস) এটা চলবে। প্রসিকিউশন থেকে আমরা চেষ্টা করবো, এ মাসের মধ্যে যেনো এই ট্রায়ালটা শেষ হয়।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে কার্যালয়টিতে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় খুনিরা। সন্ধ্যায় তালা খুলে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা দীপনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মরদেহ দেখতে এসে দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিচার চাই না, সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক’।
Discussion about this post