বিডিলনিউজ: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের ৩০ ধারা অনুসারে বিধিমালা প্রণয়নে কমিশন ও এর চেয়ারম্যানকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত এ রিট আবেদনকারী সম্পর্কে মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে ‘ভুল, বিভ্রান্তিকর, অবমাননাকর’ তথ্য দেয়ায় একটি রুলও জারি করেছে। মিথ্যা তথ্য দেয়ার বিষয়টিকে কেন ‘আইন এবং ন্যায়বিচার পরিপন্থী’ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, কমিশনের চেয়ারম্যান, কমিশনের সচিব, কমিশনের উপ-পরিচালক (তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত), তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস এবং সিভেল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বরখাস্ত হওয়া কর্মচারী মো. মোজাম্মেল হকের দায়ের করা এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এসব আদেশ দেন।
রিটকারীর অভিযোগে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিকার চাইতে তিনি মানবাধিকার কমিশনে গেলে কমিশন বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস এবং সিভেল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের কাছে পাঠায় এবং তিনি মোজাম্মেলকে চাকরিচ্যুত করেন।
মোজাম্মেল হকের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, উপযুক্ত বিধি না থাকায় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস এবং সিভেল ডিফেন্সে পাঠিয়েছিল, যদিও এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই মোজাম্মেল হকের অভিযোগ। মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ এর ৩০ ধারায় বলা হয়েছে, আইনের উদ্দেশ্য পূরণ করতে কমিশন রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম। সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার। (ইনকিলাব)
Discussion about this post