ইন্টারপোল নিয়মিতই বাঘা বাঘা অপরাধীকে ধরার জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করে। এবার তারা তানজানিয়ার সামরিক বিমানে করে কাতারে জিরাফ পরিবহণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে। সম্ভবত ইন্টারপোল এর আগে এমন কোনো ব্যক্তির নামে হুলিয়া জারি করেনি। এখন ঘটনাটি তাদের কাছে এতটাই জরুরী যে, কেউ এমন কাউকে দেখে থাকলে তার সাথেও দেখা করতে চান সংস্থাটির সদস্যরা।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) সম্প্রতি এমন একটি ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে বন্যপ্রাণী এবং পরিবেশগত অপরাধে জড়িতরাই স্থান পেয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে পশু চোরাকারবারি, অবৈধ মাছ শিকারি, চোরাই কাঠ বিক্রেতা ও হাতির দাঁত পাচারকারীরা। এ তালিকার প্রথম সারির ৯ জনের নাগাল পেতে সংস্থাটি বর্তমানে জনসাধারণের সাহায্য পাবে বলে আশাবাদী। ইন্টারপোলেরই গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা আইওনিস কক্কিনিস গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, এমন অসংখ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করতে ছোট একটা সূত্রই যথেষ্ট।
আহমেদ কামরান নামে এক ব্যাক্তি তাদের তালিকায় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সে কিলিমাঞ্জারো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে সামরিক বিমানে জীবন্ত জিরাফ এবং ইম্পালা (এক ধরনের হরিণ) পাচার করে কাতারে পাঠাতে চায়। শেখদের বিলাসী জীবনের অনুষঙ্গ হিসেবে দেশটিতে আফ্রিকান বন্যপ্রাণীর চাহিদা ব্যাপক।
অন্যদিকে, তালিকায় আইভরি পাচারকারী দলের নেতা হিসেবে ফয়সাল মোহাম্মদ আলী নামক এক ব্যাক্তির নাম এসেছে। আগেও একবার ২ টন ওজনের ৩শ’ ১৪ পিস হাতির দাঁতসহ ইন্টারপোলের জালে আটকা পড়েছিল এই কেনীয়।
চলতি বছর ইন্টারপোল এবং জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রাম প্রকাশিত যৌথ প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, অবৈধ বন্যপ্রাণীর ব্যবসা এবং পরিবেশগত অপরাধের কারণে বার্ষিক ক্ষতি ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, সমকাল
Discussion about this post