আকাশে বিমানের শৌচাগারের ট্যাংক থেকে মলমূত্র ছাড়া হলে ভারতের এয়ারলাইনসগুলোকে ৫০ হাজার রুপি জরিমানা দিতে হবে। দেশটির পরিবেশ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই আদেশ দিয়েছেন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, দিল্লিতে বিমানবন্দরের কাছের আবাসিক এলাকার ওপরে বিমানের টয়লেট থেকে মলমূত্র ফেলা হচ্ছে।
বিমানে বিশেষ ট্যাংকে মানুষের মলমূত্র মজুত থাকে। সাধারণত অবতরণের পর বিমানের এসব ট্যাংক খালি করা হয়। তবে আন্তর্জাতিক বিমান কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে চলন্ত অবস্থায় ট্যাংক ছিদ্র হয়ে মলমূত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিমানবন্দরে আশপাশের কোনো এলাকায় বিমান থেকে মলমূত্র না ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবতরণ করা বিমানের মানববর্জ্য সংরক্ষণ করা ট্যাংকটি খালি কি না, তা দেখতে হঠাৎ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের ওই পরিবেশ আদালত দ্য ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। আদালত বলেছেন, যদি কোনো বিমান এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বা অবতরণ করা বিমানের মানববর্জ্য সংরক্ষণ ট্যাংক খালি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করা হবে।
আদালতে ওই আবেদনটি করেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বিমানবন্দরের কাছে তাঁর বাড়ির চত্বর এলাকা ও দেয়াল বিমান থেকে ফেলা মলমূত্রে ভরে যায়। বিমান থেকেই যে ওই মলমূত্র তাঁর বাড়িতে পড়েছে, তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত নয়। তবে বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় আবেদনকারীর ওই দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, বিমানের বিশেষ ট্যাংকে মলমূত্র মজুত থাকে এবং সাধারণভাবে অবতরণের পর ক্রুরা সেটি খালি করেন।
জ্যেষ্ঠ এক পাইলট বিবিসিকে বলেন, বিশেষ জরুরি মুহূর্ত ছাড়া চলন্ত অবস্থায় আকাশে বিমানের পয়োবর্জ্যের ট্যাংক খালি করা হয় না।
Discussion about this post