আন্তজৃাতিক ডেস্ক: নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। লাশ শনাক্ত করার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. প্রমোদ শ্রেষ্ঠা।
আজ শনিবার (১৭ মার্চ) সকালে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটির টিচিং হাসপাতালে এ পক্রিয়া শুরু হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউএস-বাংলার কর্মকর্তারা শনাক্ত করার কাজটি তদারকি করছেন। নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনরাও সেখানে উপস্থিত আছেন।
গতকাল শুক্রবার সব লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর আজ থেকে শনাক্ত শুরু হল। তবে যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হবে না, সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আগুনে পুড়ে নিহতদের লাশ শনাক্তে সিআইডির দুই সদস্য এখন নেপালে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেই নমুনার সঙ্গে স্বজনদের নমুনা মিলিয়ে ডিএনএ প্রোফাইলিং তৈরি করা হবে।
কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় যেসব বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে, তাদের লাশ আগামী মঙ্গলবার দেশে আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। তখন সেটিতে আগুনও ধরে যায়। বিমানের ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বিমানের পাইলট, কো-পাইলট ও দু’জন ক্রুসহ বাংলাদেশের ২৬ জন, নেপালের ২৪ ও চীনের ১ জন রয়েছেন।
Discussion about this post