আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমানে ভুল করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বিধ্বস্ত করার দায় স্বীকারের পর ইরানের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে বিশ্বের পাঁচ দেশ। এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার জন্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা আগাসী বৃহস্পতিবার লন্ডনে বৈঠকে বসছে। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের বিষয়টিও বৈঠকে উঠে আসবে। তবে কোন পাঁচ দেশ আদালতে যাবে, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে গত ৮ জানুয়ারি ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৬ আরোহীর মধ্যে ৮২ জনই ছিলেন ইরানি নাগরিক। নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ সুইডিশ, চারজন আফগান, তিনজন জার্মান ও তিনজন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন। অন্যদিকে ৯ ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
সিঙ্গাপুর সফররত ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিসতাইকো জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার লন্ডনে ওই পাঁচ দেশের প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আইনগত কী পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির পদত্যাগের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুলবশত ভূপাতিত করার দায় স্বীকারের পর প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছেন ইরানের ক্ষমতাসীন নেতারা।
ইরানি বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তুলেছেন- ‘আমেরিকা নয়, শত্রু আমাদের ঘরের ভেতরেই। স্বৈরাচার নিপাত যাক।
এদিকে বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেনীয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কিংবা যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (সিএও) প্রধান আলি আবেদজাদেহ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কিংবা বিমান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে ব্ল্যাক বক্স হস্তান্তর করা হবে না। এ দুর্ঘটনা তদন্ত করবে ইরান, চাইলে ইউক্রেন সঙ্গে থাকতে পারে।
ব্ল্যাক বক্স এমন এক ডিভাইস যেখানে বিমানের সব ডেটা রেকর্ডিং ও ককপিট ভয়েস রেকর্ড সংরক্ষিত থাকে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার অংশ বিমানচালকের কক্ষের সব অডিও কিংবা কথাবার্তা রেকর্ড থাকে।
এ দুর্ঘটনার জন্য ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড পুরো ঘটনায় দায় তাদের মাথায় নেন, যা খুবই বিরল ঘটনা।
Discussion about this post