পুরান ঢাকায় দরজি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ জানান, মামলাটি আজকের কার্যতালিকায় ২০ নম্বরে রয়েছে। ডেথরেফান্সের শুনানির সঙ্গে এ মামলায় আসামিদের করা আপিলও গ্রহণ করবে এ বেঞ্চ।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়। এর আগে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগের হাতে খুন হন দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ দাসকে। পরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পর বিধি অনুসারে ওই রায় কার্যকরে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষেও হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নুরে আলম লিমন।
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এএইচএম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। রায়ে এই আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত এই ২১ আসামির মধ্যে ৮ জন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
Discussion about this post