চট্টগ্রাম বন্দরে দুদিনের অপারেশন আইরিন শুরু করেছে শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দা শাখা। দেশে অস্ত্র, মাদক ও বিস্ফোরকদ্রব্যের প্রবেশ ঠেকাতে অভিযানে অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর নিরাপত্তা বাহিনী, কাস্টমস ও বিজিবি।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৩টি দেশের বন্দরে আজ (সোমবার) থেকে একযোগে এ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
সোমবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের ৮ নম্বর শেড থেকে এ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তিনটি কুকুর দিয়ে আলাদাভাবে ৩টি ইউনিট এ অভিযান চালানো হচ্ছে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক ইউনিট। কুকুরগুলো তিনটি আলাদা বিষয়ে অভিজ্ঞ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম জানান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অভিযানের মূল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া বন্দর, কাস্টমস, বিজিবি এবং বন্দরে নিয়োজিত সেনা সদস্যসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থা অভিযানে সহায়তা করছে।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুসাইন আহমেদ জানান, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজো-রাইলোর অধীনে ৩৩টি দেশ একযোগে অস্ত্র, মাদক ও বিস্ফোরকের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে দেশের বিমান, স্থল ও নৌবন্দরগুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করছে সংস্থাটি। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর দিয়ে যাতে কোনো অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে আইরিন।
হুসাইন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বন্দরের সুবিধা ব্যবহার করে কেউ যাতে ড্রাগস, আর্মস এবং এক্সপ্লসিভ আমদানি করতে না পারে, কেউ যদি এনেও থাকে সেটা যেন কোনোভাবে বের করতে না পারে, সেটা যাতে টেররিস্ট এবং যারা সাবমারসিভ অ্যাকটিভিস্ট করে তাদের হাতে না পড়ে। এগুলো আমাদের নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সারা বিশ্বের নিরাপত্তা সমস্যাটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে টেররিস্টরা যখন এসব অ্যাটাক করছে। সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের সব গোয়েন্দা সংস্থা সজাগ ও সতর্ক। আমরা কাস্টমস ইন্টেলিজেন্সও সতর্ক।’
অপারেশন আইরিন প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘আজকে এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স (শুল্ক গোয়েন্দা)। কিন্তু আমাদের সঙ্গে চিটাগাং কাস্টমস, চিটাগং পোর্ট এবং অন্যান্য এজেন্সিগুলো আছে। আমরা যৌথভাবে কাজটি করছি। বিজিবির যে ডগ স্কোয়াড তারাও আছে। আজকে তিনটা ডগ আসছে। তিনটা টিম কাজ করছে। প্রত্যেকটা টিমের সঙ্গে কাস্টমস হাইসের, পোর্টের, কাস্টমস ইন্টেলিজেন্সের লোক আছে। এরা সবগুলো এলসিএলের পার্সেল, সবগুলো কনটেইনারের মালামাল চেক করবে। ডগগুলো মূলত তিন ধরনের কাজ করবে। কোনো এক্সপ্লসিভ আছে কি না, কোনো ড্রাগস আছে কি না ও কোনো আর্মস আছে কি না। সবগুলো মালামালের পরীক্ষা আমরা কালকের মধ্যে শেষ করব।’
Discussion about this post