নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ আসছে আমরা চিন্তা করছি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত চিন্তা করছে, পরিকল্পনা করছে। কী ধরনের দুর্নীতি সারাবিশ্বে হয়, সেগুলোর বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারাবিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ রক্ষা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি, যাতে যেকোনোও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি।
আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জননিরাপত্তা বিভাগের ছয়টি দফতর ও সংস্থার বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সক্ষমতা দেখাচ্ছে। অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তারা সব ধরনের খবরকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে। শ্রীলঙ্কায় একটা ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য আমরা একটা সমন্বয় ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, সবাই সজাগ ছিলাম বলে ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা এবং দুর্নীতি বড় চ্যালেঞ্জ। নিরাপত্তা একটা ব্যাপক কাজ। সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, আমরা টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। আজকে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করবো। ২০২১ সালে শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করবো। আমাদের নির্বাচনে যে টার্গেটগুলো ছিল, তা বাস্তবায়নে কাজ করবো। আমাদের সফলতার হার ৯৭ শতাংশের ওপরে। কাজেই শতভাগ তেমন কিছু নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি সব সময় ছিল। ভবিষতে যাতে দুর্নীতি কমে যায়, তার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা সেই কাজটি করে যাচ্ছি। একটা স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে যে কাউকে তলব করছে। যেখানেই দুর্নীতির আভাস পায়, কিংবা যেকোনও দুর্নীতির কারণ খুঁজে পায়, আমাদের বিভাগীয় প্রসিডিং সেখানে করা হচ্ছে। আমাদের যা যা করণীয় সব করছি। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, যে-ই দুর্নীতি করবে, যে-ই আইন অমান্য করবে, অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি হবে, বিচার হবে।
নিরাপত্তার নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা এই ধরনের ক্রাইম করে, তারা যথেষ্ট মেধা নিয়ে ক্রাইম করে। ইদানিং দেখছি, সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্য আমরা সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে শক্তিশালী করেছি। আমাদের পুলিশের একটা ইউনিটই গঠন করেছি সাইবার ক্রাইম দমনের জন্য। আমাদের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেল (এনটিএমসি) শক্তিশালী করছি। আমরা বহু চ্যালেঞ্জ ইতোমধ্যে মোকাবিলা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা নিরাপত্তা বিভাগকে তাদের সক্ষমতা, দক্ষতা এবং তাদের যা যা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী তার ব্যবস্থা করেছেন বলেই আমরা যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারছি। আমরা মনে করি, ভবিষ্যতে পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আনসার, এনটিএমসি, অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সবাই তাদের কাজ সঠিকভাবে করবে।
Discussion about this post