আব্দুল আলীম নবীন; মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর গ্রামের মোল্লাগুষ্টি থেকে পুলিশ এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। ওই গ্রামের লুৎফুর রহমানের ঘরে স্বামীকে নিয়ে গৃহবধু ভাড়া থাকতেন। রবিবার সন্ধ্যার দিকে ওই গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। পুলিশ গৃহবধুর স্বামীকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, বরিশাল জেলার লক্ষীপুর উপজেলার দবিচর গ্রামের মোশারফ হোসেন বোয়াতির পুত্র এনায়েত হোসেন রুমি (৩০) দীর্ঘ দিন থেকে বিয়ানীবাজারে রয়েছে। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিপননের দায়িত্বে থাকা এনায়েত গত দুই মাস আগে স্ত্রী বিতি (২০)কে নিয়ে লুৎফুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার দাম্পত্য কহলের জের ধরে গৃহবধূ বিতি ওড়না দিয়ে কক্ষের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তাদেও একটি দুই বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। এনায়েত হোসেন বলেন, কোম্পানির বিপনন কাজে আমাকে ১২/১৩ ঘন্টা বাইরে থাকেত হয়। বাসায় ফিরে অনেক সময় বিতিকে পাই না। সে বেড়াতে বেরিয়ে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই আমাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হতো। বিতি মোবাইল ফোন নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতো। এসব বিষয় নিয়ে রবিবার বিকালে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমি বাড়ির বাইরে চলে যাই। সন্ধ্যার দিকে এসে দেখি বিতির কক্ষের দরজা আটকানো। ডাক দিয়ে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করে বিতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কমকর্তা জহিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদি থানায় অপমৃত্যু মামলা (০৪/১৭-০৫-১৫) দায়ের করা হয়েছে। সন্দেহজনকভাবে বিতির স্বামী এনায়েত হোসেনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন তথ্য না পেয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
Discussion about this post