এম মিসবাহ উদ্দিন-বিডি ল নিউজ , বিয়ানিবাযার প্রতিনিধি: শুক্রবার রাতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করার যে খবর ছড়িয়ে পড়েছিলো তা তথ্যগত ত্রুটি ছিলো বলা যায়। স্বজনদের সাথে শেষ দেখার সুযোগ দিতে আজ শনিবার রাতের কোন এক সময় (১২টার আগে) ‘৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের অভিযুক্ত
কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হবে। সারা দেশের মতো বিয়ানীবাজারেও সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। পুলিশের পাশাপাশি পৌরশহরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবিও টহল দিচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে চাননি বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন। শনিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তিনি (কামারুজ্জামান) মার্সি পিটিশন করতে চাননি।” কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা জানতে আগের দিন সকালে কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা জেলার দুই ম্যাজিস্ট্রেট। রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার নিষ্পত্তি এবং পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি বাকি ছিল বলে আগেই জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে পরিবারের সদস্যদের কারাগারে যেতে বলা হয়েছে বলে তার ছেলে হাসান ইকবাল জানিয়েছেন। একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে ময়মনসিংহের আল বদর কমান্ডার কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সেখানেও তার সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল থাকে।
সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য কামারুজ্জামানের আবেদন গত সোমবার খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। এরপর বুধবার দুপুরে রায়ে বিচারপতিদের সইয়ের পর তা কারাগারে পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ ওই রায় পড়ে শোনায় ফাঁসির আসামি কামারুজ্জামানকে। শুরু হয় দণ্ড কার্যকরের আগে আসামির প্রাণভিক্ষার আনুষ্ঠানিকতা।
Discussion about this post