বিডি ল নিউজঃ দিন দিন মানুষের প্রানের মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। একেবারে ছোটখাট ব্যাপারেও আজকাল মানুষ খুনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। একটি অনুষ্ঠানে নাচের সময় একে অন্যের সাথে ধাক্কা লাগা একেবারেই স্বাভাবিক। আরে ঢাকা শহরে তো রাস্তাঘাটে চলতে গেলেও মানুষে মানুষে বিনাকারনে ধাক্কা লাগে, এর জন্য শাস্তি দেওয়া হয়ত যায়, কিন্তু তা কোন মতেই খুন হতে পারে না। কিন্তু, এমনটাই ঘটল এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচার সময় স্ত্রীর গায়ে ধাক্কা লাগার দায়ে স্বামী-সন্তান মিলে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক কমল কৃষ্ণ সাহা জানান, শনিবার রাত ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরাঙ্গীর চর কেয়ার হাসপাতালে শাকিল খানের (১৫) মৃত্যু হয়।
রাত ৩টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন- কামাল হোসেনের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩৬), বোন নাজমা বেগম (৪২), ভাগিনা ছেলে নাজিম (২৪) ও ভাই মো. শাজাহান (৩০)। শাকিল খান বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জের ঘটকের চরের রাকিব খানের ছেলে। সে মোহাম্মদপুর রায়ের বাজার মেকআপ খান রোডের ৩২/১০/এ/৮/৫ নম্বর বাসায় থাকত।
শাকিল খানের চাচা মনিরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়ির পাশে একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে সবাই নাচার সময় শাকিলের সঙ্গে আছিয়া বেগমের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ওই নারীর ঠোঁট কেটে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী কামাল হোসেন, ছেলে সাগর ও আকাশ মিলে শাকিলকে মারধর করেন।
তিনি জানান, এরই জের ধরে শুক্রবার রাতেও শাকিলকে মারধর করা হয়। এতে শাকিল গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে কামরাঙ্গীর চর কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মশার(পশু) মত মানুষ খুন করার মানসিকতার লোকজনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। যাতে মানুষের প্রানের মূল্য এতটা সস্তা নয়, তা সকলে উপলব্ধি করতে পারে।
Discussion about this post