বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ আসলে কতটা ধুপে টিকে!
আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব আর অবাধে ইন্টারনেট ব্যাবহারের সুযোগের ফলে আজকাল সম্পর্ক গুলো আর আগের মত সুন্দর নাই । সম্পর্কগুলো এখন যতটা না মন কেন্দ্রিক, তারচেয়ে বেশি শরীর কেন্দ্রিক ।
যদিও শারীরিক ও মানসিক সম্পর্ক ২ টাই যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমান গুরুত্বপূর্ণ, তারপরও বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ধর্মীয় , সামাজিক ও নৈতিক দিক থেকে একটা বড় অপরাধ ।
তাছাড়া বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তা যত গভীরই হোক না কেন তার যেহেতু আইনগত স্বীকৃতি নাই , তাই বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের ফলে সৃষ্ট কোন ঘটনাকেও আইন সমর্থন করে না । তারপরেও আদালত পাড়ায় থেমে নেই এই সংক্রান্ত মামলা ।
প্রতিনিয়তই বাড়ছে “বিয়ের প্রলোবনে ধর্ষণের মামলা” । আর এক শ্রেণির অসাধু আইনজীবীও এসব মামলায় উৎসাহিত করছেন যদিও এইওসব মামলা শেষ পর্যন্ত টিকেনা এবং আসামি খালাস পেয়ে যায় ।
এর মূল কারণটা হচ্ছে নারী পুরুষ উভয়ের সম্মতিতে কৃত যৌন কর্ম ধর্ষণের আওতায় পড়েনা এমনকি কোন আপরাধের মধ্যেই পড়ে না ।
ধর্ষণের সংক্রান্ত বিধান রয়েছে বাংলাদেশ দন্ডবিধি১৮৬০ এর ৩৭৫ ধারায় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধিত ২০০৩ ) এর ৯ ধারায় । দন্ডবিধির ৩৭৫ বলা হয়েছে ৫ টি ক্ষেত্রে নারীর সাথে যৌন সহবাস ধর্ষণ বলে গণ্য হবে ঃ ১) তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, ২) তার সম্মতি ছাড়া, ৩) তার সম্মতিতে কিন্তু মৃত্যু বা আঘাতের ভয় দেখিয়ে সম্মতি আদায় করা হলে, 8) তার সম্মতিতে যখন মহিলা মনে করে যে পুরুষ লোকটি তার স্বামী যদিও পুরুষ লোকটি জানে যে সে উক্ত মহিলার স্বামী নয় ।
তার সম্মতিসহ বা সম্মতিছাড়া যে ক্ষেত্রে সে ১৪ বছরের কম বয়স্ক হয় । তাই বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ দিনশেষে আদালতে ধুপে টিকেনা । এইক্ষেত্রে ফরিয়াদি কেবল মাত্র প্রতারণার অভিযোগ করতে পারে এবং এইটাই হচ্ছে এর যথার্থ আইনগত প্রতিকার ।
লেখকঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান
ইমেইল/ ফেইসবুকঃ justicemmhasan@gmail.com
Discussion about this post