বিয়ানিবাজার প্রতিনিধি:- বিয়ানিবাজা র প্রতিক্ষিত সিলেটের কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর ওপর নবনির্মিত তিনটি সেতুর আনুষ্টানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই তিনটিসহ দেশের চয় জেলার নয়টিসেতুর আনুষ্টানিক উদ্বোধন করবেন। সকাল ১১ টায় সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। এ সময় মন্ত্রী, সঙসদ সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া সেতুগুলোর উদ্বোধনী ভিডিও কনফারেন্সকালে অর্থমন্ত্রীআবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মন্নান, জ্যেষ্ট সংসদ সদস্য, আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গণভবনে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর সাথে এসময় সিলেট নগরীর শেখঘাটে সুরমা নদীর ওপর চার লেনবিশিষ্ট ‘কাজীবাজার সেতু’- এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসন এবং সড়কও জনপথ বিভাগ সিলেটের সংশ্লিষ্টরা।সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তার কার্যালয়ে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উল্লেখিত প্রকল্পগুলো উদ্বোধনে অনুমতি দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সিলেটের দুইটি সেতুই নয়, একই সময় কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশের আরও সাতটি সেতু উদ্বোধন করবেন।’সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সিলেটের বৃহৎ এই সেতু তিনটিরএকটিতে (চন্দরপুর) ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক যান চলাচল শুরু হয়েছে।
অন্যটিও যানচলাচলের জন্য সম্পূর্ণভাবে উপযুক্ত রয়েছে।‘শেখঘাট সেতু’সিলেট নগরীর শেখঘাট-কাজিরবাজার এলাকায় অত্যাধুনিক একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রথম অবস্থায় চার লেন বিশিষ্ট ৩৬৬ মিটার দীর্ঘ এবং১৯ মিটার প্রস্তের এ সেতুটিরপ্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০০৫সালের ২৪ ডিসেম্বর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। সেতুটির নির্মাণকাজ ২০১৭-০৮ অর্থবছরের মধ্যেই সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি সেতুটির কাজ। এমনকি ক্ষমতার রদবদল ঘটায় ২০০৯ সালে মহাজোটসরকার কাজিরবাজার সেতু প্রকল্প সংশোধন করে। তখন নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ১৬২ কোটি টাকা। এসময় নগরীর শেখঘাটে ঐতিহ্যের জিতু মিয়ার বাড়ি রক্ষা করার জন্য সেতুর নকশা বদলও করা হয়। এ ছাড়া সেতুর দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয় ২৫ মিটার। সে সময় ব্যয়ও বাড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ১২৪ কোটি টাকা। অবশ্য এজন্য সেতুর প্রস্থ ১৯ মিটার থেকে কমিয়ে ১৮ দশমিক ৪ মিটার করা হয়। তবে দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে ৩৯১ মিটারে উন্নীত করা হয়।‘চন্দরপুর সেতু’২০০০ সালের ১৯ জুন তৎকালীন সংসদ সদস্য (বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী) চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।২০০৫ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচুমিয়া আবারও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে কাজে হাত দেন, চলেবেশ ক’দিন। সেতুর পায়া, গার্ডারসহ সিকিভাগ কাজের পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। আবারো সরকারের পরিবর্তন ঘটে। ২০১৩ সালে ২৭ সেপ্টেম্বরে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে সেতুর অসমাপ্ত কাজে হাত দেন।দ্রুতগতিতে কাজ চলায় প্রায় দু’বছরে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
Discussion about this post